হতাশা
প্রথমেই আমরা আমাদের মেইলে পাওয়া একটা ঘটনা শেয়ার করি । ঘটনাটি হলোঃ
আসসালামু আলাইকুম।আশা করি সকলে ভালো আছেন।কিন্তু আমি ভালো নেই।বলাবাহুল্য আমি একজন এডমিশন ক্যান্ডিডেট।স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলাম।কিন্তু শুরুতে আশানুরূপ সার্ভিস না পাওয়ায় আমি হতাশ হয়ে পড়ি।সেই হতাশা আজও বিদ্যমান।আমার কাছে এখন সব পড়া কঠিন মনে হয়।পড়তে বসলেও ৫ মিনিটের বেশি পড়তে পারিনা।এখন শুধু মনে হয় এই কয়েকদিন পড়ে আর পাবলিকে পড়া যাবে না।অন্যদিকে বাড়িতে আমার বাবা-মা ভাবছে আমি হোস্টেলে নিয়মিত পড়াশোনা করছি।আমি মানসিকভাবে এখন প্রচন্ড বিপর্যস্ত।পড়তেই পারিনা।সময়ও চলে গিয়েছে।কি করবো বুঝতে পারছি না।অনুগ্রহ করে কেউ কি আমাকে ভালো সাজেশন দিতে পারবেন যে আমার এখন কি করা উচিত?
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কোনও ইচ্ছেপূরণ না হলে বা কাজের আশানুরূপ ফল না পেলে যে মানসিক অবসাদের সৃষ্টি হয় তা হলো হতাশা।[১] লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব না হলে হাল ছেড়ে দেয়ার প্রবণতা-ই হতাশার লক্ষণ। হতাশা একটি মানবিক অনুভূতি যার মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি কখনও মানসিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে।
কারণসমূহ[সম্পাদনা]
নির্যাতন: শারীরিক, যৌন, মানসিক৷
মৃত্যু/ক্ষতি: প্রিয়জনের মৃত্যু, আর্থিক ক্ষতি, চাকরি হারানো ৷
অসুখ: দুরারোগ্য কোনো রোগে আক্রান্ত হলে হতাশা ঝুকি বাড়ে ৷ সস্থুলতা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ আগস্ট ২০২১ তারিখে[২], উচ্চ রক্ত চাপ, ডিয়াবেটিসের মত রোগও হতাশা বাড়ায় ৷
লিঙ্গ : পুরুষের তুলনায় নারী বেশি অবসাদে ভোগেন ৷
জিন: হতাশার পারিবারিক ইতিহাস ঝুকি বাড়ায় ৷ বিশেষ কিছু জিনের পরিবর্তন হলেও হতাশা ঝুকি বাড়ে ৷
অন্যান্য : নুতন চাকরি শুরু করা, নুতন কোনো স্কুলে যাওয়া, বা শিক্ষা জীবন শেষ করা ৷ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বা বিবাহ বিচ্ছেদ ৷
লক্ষণ
১। মেজাজ খিটখিটে
২।একজনের রাগ অন্যের উপর মেটানো
৩।মন খারাপ করে বসে থাকা
৪।উদাসীনতা
৫।কথা বলতে তাড়াহুড়ো
যে উপায়ে হতাশা কাটাবেন
![]() |
জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেকে উৎসাহ দিতে শিখুন। মডেল: অনামিকা, ছবি: অধুনা |
১. হতাশা অনুভব করুন!
হতাশাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। এই এড়িয়ে চলা বা পালানোর চেষ্টাতেই আরও বেশি হতাশ হয়ে পড়ি। অফিসে হয়তো কাজ ভালো হচ্ছে না কিংবা বসের বকুনির মাত্রা বেশ বেড়ে গেছে—এমন হতাশা এড়ানোর জন্য অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন। হতাশাকে মোকাবিলা করুন। পালিয়ে হতাশা থেকে মুক্তি নেই কিন্তু।
২. আপনি কোথায় যাচ্ছেন জানেন তো?
আমরা খুব বেশি হতাশ হয়ে পড়ি যখন বুঝিই না আমরা কী করছি। আপনি যা অর্জন করতে চাচ্ছেন তা কি আপনি নিজে জানেন? একজন বৈমানিক যদি তাঁর গন্তব্যস্থল না জানেন তাহলে কি তিনি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন? আপনার লক্ষ্য-গন্তব্য প্রথমে জানুন, তারপর সেই দিকে কাজ করুন।
৩. গোছানো কাজ করুন
সব সময় চেষ্টা করুন গুছিয়ে কাজ করতে। কম সময়ে ভালো কাজ করা যায়।
৪. পরামর্শ নিন
যতই হতাশা বোধ করুন না কেন অভিজ্ঞ কিংবা মনোবিদদের পরামর্শ নিন। নিজে থেকে অনেক সময় হয়তো সমস্যার সমাধান করা যায় না, কিন্তু অভিজ্ঞদের পরামর্শে আপনার সমস্যার জট খুলতে পারে।
৫. ভুল করুন
আপনার হয়তো পদোন্নতি হচ্ছে না কিংবা পেশাজীবনে সামনে এগোতে পারছেন না। ঝুঁকি নিয়ে নিজের গণ্ডির বাইরে কাজ করার চেষ্টা করুন। ভুল হওয়ার ঝুঁকি মেনে নিয়ে কাজ শুরু করুন। কাজ করলে ভুলের আশঙ্কা থাকবেই, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও সামনে এগোনোর মনোভাব গড়ে তোলা উচিত আমাদের। আর পেশাজীবনের শুরুর দিকে বেশি ভুল করলে আপনার শেখার সুযোগ বেশি থাকে। ভুল থেকে শেখার মানসিকতা গড়ে তুলুন।
৬. আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করুন
যা করবেন তা নিজের দায়ে করুন। নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়ে তারপর কাজ করুন। আপনার ধৈর্য আর আত্মবিশ্বাস আপনার কাজের মান ভালো করতে অনুপ্রেরণা দেবেই।
৭. সময় নিন
যেকোনো কাজ করার আগে সময় নিতে শিখুন। তাড়াহুড়ো করে কোনো কাজ করবেন না। কোনো কাজ শেষ করে কয়েকবার পুনরায় পরীক্ষা করুন, ভুলত্রুটি কমানোর মাধ্যমে কাজের মান ভালো করা যায়।
৮. নিজেকে পুরস্কৃত করুন
আপনি হয়তো রাতের পর রাত জেগে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ পুরস্কার বা পদোন্নতি জুটছে না। এমন অবস্থায় হতাশা এড়ানোর জন্য নিজেকে নিজে পুরস্কৃত করতে শিখুন। জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেকে নিজে উৎসাহ দিতে শিখুন। নিজের জন্য বই কিনতে পারেন, কিংবা অফিসের ডেস্কে ছোট্ট অ্যাকুরিয়ামে মাছ চাষ করতে পারেন। অন্যরা কে কী ভাবছে আপনাকে নিয়ে, তা না ভেবে কাজের দিকে মনোযোগ দিন।
সূত্র: কোরা ডটকম
No comments